ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক মেরামতে সেনাবাহিনী

টাঙ্গাইল, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, টাঙ্গাইল | 2023-08-30 08:36:44

বন্যার পানিতে ভে‌ঙে যাওয়া ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক মেরামতের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ‌সেনাবা‌হিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউ‌বো) যৌথভা‌গে জিও ব্যাগ ফেলা‌র কাজ ক‌র‌ছে।

শুক্রবার (১৯ জুলাই) সকাল থে‌কে কাজ হয়। এর আগে বৃহস্প‌তিবার (১৮ জুলাই) রা‌তে ভুঞাপুর-তারাকা‌ন্দি সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত নলীন-পিংনা-যোকারচর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি ভে‌ঙে যায়।

স্থানীয়রা জানান, তীব্র স্রো‌তে সড়ক‌টির ভূঞাপুর পৌর এলাকার টেপিবাড়ি নামক স্থানে রাত ৮টার দিকে ভেঙে যায়। ফলে ভূঞাপুর পৌরসভা ও ফলদা ইউনিয়নের আটটি গ্রাম প্লাবিত হয়। ভূঞাপুরের সাথে তারাকান্দির সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া উত্তরব‌ঙ্গসহ বি‌ভিন্ন এলাকায় তারাকা‌ন্দির যাতায়াত বন্ধ র‌য়ে‌ছে।

আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে সড়কটি ভেঙে যেত না বলে দাবি করেন এলাকাবাসী।

শুক্রবার দুপুরে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রনালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার। তিনি জানান, ভূঞাপুর-তারাকান্দি রাস্তা তারাকান্দি যমুনা সার কারখানার জন্য এই রাস্তার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন অংশে জিও ব্যাগ ফেলে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। যমুনার পশ্চিমাংশে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রায় শেষের দিকে, পূর্বাংশে প্রাথমিকভাবে কাজ চলছে। বকশিগঞ্জ থেকে গোয়ালন্দ পর্যন্ত ভাঙন রোধে সার্ভে করে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

‘বন্যায় জলাবদ্ধদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হবে। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস একযোগে কাজ করছে। এলাকাবাসীকেও এব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।’

টাঙ্গাইল পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশরী সিরাজুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরেই সড়ক‌টি হুমকির মুখে ছিল। এজন্য সেটি মেরামত করার তৎপরতা চালানো হয়। তবুও হঠাৎ করেই রাতে টেপিবাড়ি অংশে ভেঙে যায়।

জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসনের আহবানে সেনাবাহিনী বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার, ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি পরিদর্শন করেছেন।

যমুনার নদীর পানি আট সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিপদসীমার ১১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, গোপালপুর, কালিহাতী, নাগরপুর, দেলদুয়ার উপজেলার প্রায় ১১১টি গ্রামের তিন লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন। বন্যার পানি প্রবেশ করায় এসব এলাকার ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

আরও পড়ুন: তীব্র স্রোতে ভেঙে গেল ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক

এ সম্পর্কিত আরও খবর