নাগর নদে বাঁধ ও সুতি জাল দিয়ে মাছ শিকার

নাটোর, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নাটোর | 2023-08-28 13:39:18

নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১১নং ছাতারদীঘি ইউনিয়নের নাগর নদে বানার বাঁধ (বাঁশের চাটাই) ও সুতি জাল (ক্ষুদ্র ফাঁসবিশিষ্ট) দিয়ে মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণী শিকার করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল।

এছাড়া নদের বাশারনগর-লালপাড়া ও ধরমপুর এলাকার বেশ কয়েকটি পয়েন্টেও বাঁশের বাঁধ ও সুতি জাল ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে একদিকে যেমন মাছসহ চলনবিলের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে আটকে পড়া পানির স্রোতে শত শত ঘর-বাড়ি ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।

চলনবিলের জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা কয়েকটি সংগঠনের দাবি, প্রজনন মৌসুমে দখলদারদের বেপরোয়া দৌরাত্মে ব্যহত হচ্ছে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন।

মৎস্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত নাগর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, বাঁশরে বাঁধ ও সুতি জাল দিয়ে সব ধরনের মাছ, কাঁকড়া ও শামুকসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী নিধন করা হচ্ছে। জাল এটাই নিশ্ছিদ্র যে পোনাসহ জলজ কীটপতঙ্গ পর্যন্ত আটকা পড়ছে।

বাশারনগর গ্রামের সুমতী রানী, আব্দুল ওয়াহেদ, রুস্তম আলী জানান- সিংড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানকার কেউ খবর রাখে না। এসব অবৈধ বাঁধের কারণে হুমকির মুখে এলাকার শতাধিক বাড়ি-ঘর।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন আকন্দ নাগর নদের পানি আটকে মাছ শিকারে কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নাগর নদে বাঁধ ও সুতি জাল দিয়ে এভাবে পানি আটকে মাছ ও জলজ প্রাণী শিকারে চলনবিলের জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এর সঙ্গে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকায় এটি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।’

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার সুতি জালের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার আশ্বাস দিয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর