আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে বানভাসি মানুষ

গাইবান্ধা, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গাইবান্ধা | 2023-08-31 12:24:31

গত এক সপ্তাহ ধরে গাইবান্ধার নদ-নদীগুলোতে হু হু করে বাড়ছে পানি। এতে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিতে ভাসছে ঘরবাড়ি। এ কারণে বানভাসি মানুষরা আশ্রয়ের সন্ধানে নানা দিকে ছুটছে।

বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি থাকায় ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, যমুনা ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, সাদুল্লাপুর উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে সেখানে স্থানীয়দের সহায় সম্বল ভেসে যাচ্ছে। নানা দুর্ভোগে পড়ে তাদের মধ্যে আহাজারি শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তারা ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

এদিকে পানিবন্দী এসব মানুষ পশুপাখি ও আসবাবপত্র নিয়ে একটু নিরাপদে থাকার উদ্দেশে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছে। অনেকে উঁচু রাস্তায় অস্থায়ী ঘর তুলে বসবাস করছে। এসব জায়গায় অনেকে স্থান না পেয়ে তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ নৌকা বা কলাগাছের ভেলায় দিন-রাত কাটাচ্ছে।

ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত মানুষদের স্বাস্থ্য, খাদ্য ও বাসস্থানসহ বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির ফসলহানি হয়েছে।

সাঘাটার ভরতখালি এলাকার আবুল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, যমুনা নদীর পানিতে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। ঘরে থাকা কিছু আসবাবপত্র নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছেন তিনি।

মোরশেদা বেগম নামে আরেক বানভাসি জানান, ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার জন্য বের হয়েছেন।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক (রুটিন দায়িত্ব) রোখসানা বেগম জানান, পানিবন্দী মানুষদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। দুর্গতদের ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। যা বিতরণ চলমান থাকবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর