তীব্র স্রোতে উত্তাল পদ্মা। এজন্য ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। এর মধ্যে আবার নৌরুটে রয়েছে ফেরি স্বল্পতা। সব মিলিয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে বাড়ছে ভোগান্তি। গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন পদ্মা পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে বলে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানায় ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ।
তবে অপেক্ষমাণ যানবাহনের বেশিরভাগই পণ্যবাহী ট্রাক। আর অল্প পরিসরে যাত্রীবাহী বাসের লাইন থাকলেও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির কোনো লাইন নেই বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকার জিরো পয়েন্ট থেকে দুই কিলোমিটার জুড়ে বাসের লাইন দেখা যায়। এছাড়াও রয়েছে পারের অপেক্ষায় থাকা পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইন। পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ট্রাক টার্মিনাল দু’টিও ট্রাকে ভরপুর। টার্মিনালে জায়গা না হওয়ায় মহাসড়কের উথুলী এলাকায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলমুখী পণ্যবাহী ট্রাকগুলো আটকে দিচ্ছে পুলিশ।
নৌরুট পারের জন্য পাটুরিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্টে ঈগল পরিবহনে অপেক্ষমাণ যাত্রী আবিদুর রহমান জানান, পাটুরিয়া ঘাট পিছিয়েই রইল। ভোগান্তি ছাড়া এ নৌরুট পার হওয়া, বৃথা স্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নয়।
শাকুরা পরিবহনের এক যাত্রী জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট পারাপারের ভোগান্তি আজ নতুন নয়। কোনোভাবেই এ ভোগান্তি থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। গরমের মধ্যে দুই ঘণ্টা ধরে ঘাট এলাকায় বসে থেকেও ফেরির দেখা পায়নি তাদের বহনকারী বাস।
পদ্মা সেতু চালু না হওয়া পর্যন্ত এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের এজিএম জিল্লুর রহমান জানান, নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া ফেরি স্বল্পতাও রয়েছে। যে কারণে ভোগান্তি বাড়ছে পাটুরিয়া ঘাটে।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. গোলজার হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, সকাল থেকেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহনের প্রচুর চাপ রয়েছে।
সবশেষ নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় চার শতাধিক ট্রাক ও শতাধিক বাস অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে জানান তিনি।