ভাঙন রোধে উদ্যোগ নেই, হতাশ যমুনাপাড়ের মানুষ

টাঙ্গাইল, দেশের খবর

অভিজিৎ ঘোষ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, টাঙ্গাইল | 2023-08-31 14:29:52

দুই সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীতে অব্যাহত ভাঙন চললেও ভাঙন রোধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। যমুনার ভাঙনে ইতোমধ্যে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা ও মন্দিরসহ কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙনের কবলে পড়েছে। সরেজমিনে টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ি ও ভালকুটিয়া এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব এলাকার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে রাস্তায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১১ সাল থেকে ভাঙন শুরু হলেও টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ড তা রোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে দিন দিন যমুনা নদীর ভাঙনে গৃহহীন হয়ে নি:স্ব হচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষ।

উপজেলার কষ্টাপাড়া গ্রামের সবুর আলী জানান, যমুনা নদীতে অর্ধমাস ধরে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। স্থানীয় এমপিসহ সরকারি কর্মকর্তারা ভাঙন দেখে গেছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেননি। তারা শুধু এসে আশ্বাস দিয়ে যান।

খানুরবাড়ি গ্রামের ঈমান বেপারী বলেন, ‘তিন গ্রামের প্রায় দেড় কিলোমিটার জুড়ে তীব্র ভাঙন শুরু হলেও শুধু ৭৫ মিটার এলাকায় নিম্নমানের জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এতে ভাঙন রোধে কোনো কাজেই আসেনি।’

স্থানীয়রা জানান, যেভাবে যমুনা নদীর কষ্টাপাড়া, ভালুকুটিয়া ও খানুরবাড়িতে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে সপ্তাহখানেকের মধ্যে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে গ্রামগুলো। গ্রামগুলো রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নে তিনটি গ্রামে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে কমপক্ষে ৫০০ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলানো দরকার। কিন্তু বড় কোনো প্রকল্প অনুমোদন হয় না। তাই ঐ এলাকায় ৭৫ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। আরো ৭৫ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করা হয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর