ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ছাদে ফল ও সবজি চাষ

গাইবান্ধা, দেশের খবর

তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গাইবান্ধা | 2023-09-01 12:30:24

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ছাদে ফল ও সবজি চাষ করছেন কর্মরত অফিসাররা। তারা নিজ উদ্যোগে টবে এসব ফল ও সবজি চাষ করছেন।

জানা গেছে, কামারপাড়া ইউনিয়নের কৃষকদের দোড়গোড়ায় কৃষিসেবা পৌঁছাতে পরিষদের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারের কার্যালয় স্থাপন করা হয়। অফিসে কর্মরত আছেন শাহজাহান মিয়া, নুর তারেক ও মোত্তালেব হোসেন নামের তিনজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা। তারা কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে ফসল উৎপাদনে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। পাশাপাশি বাসাবাড়ির ছাদে ফল-ফুল ও সবজি চাষ করার কৌশল রপ্ত করেছেন।

সম্প্রতি তারা টবে আম, পেঁয়ারা, মাল্টা, পেঁপেঁ, লেবু, বরই, পুঁইশাক, লালশাক, পাটশাক, করলা ও শসা চাষ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে শাক সবজি উৎপাদন শুরু করেছেন তারা।

এদিকে, ছাদে ফল ও সবজি চাষ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকসহ উৎসুক তরুণ-তরণীরা। অনেকে আসছেন চাষ পদ্ধতি শিখতে, আবার কেউ মোবাইল ফোনে ভিডিও ও ছবি নিতে।

ছাদ বাগান দেখতে আসা মেহেদী হাসান ও সুমি খাতুন জানান, ছাদে ফল ও সবজি চাষ শুধু কৃষি চাহিদায় নয়, এটি অত্যন্ত শোভাবর্ধন ও দৃষ্টিনন্দন বটে। এখানে ঘুরে বেশ ভালো লাগছে। এই উদ্যোগ এলাকায় সাড়া জাগিয়েছে।

আদর্শ কৃষক শহিদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ভবনের ছাদে কৃষি ফসল চাষ করা যায়, এমনটা শুনেছি কিন্তু কখনো বাস্তবে দেখিনি। এখানকার কৃষিবান্ধব অফিসারদের উদ্যোগে ছাদে ফল ও সবজি চাষ দেখতে এসেছি। আশা করছি আমরাও বাড়ির ছাড়ে ফল ও সবজি চাষ করতে পারব।’

কামারপাড়া এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ছাদে সবজি চাষ তুলনামূলক সহজ এবং খরচও অনেক কম হয়। পানি, পানীয় বা তেলের বোতল ও কন্টেইনার থেকে শুরু করে বাসার পরিত্যক্ত বা ফেলনা যেকোনও পাত্রেই ছোট-বড় সব ধরনের শাক-সবজিই চাষ করা সম্ভব। প্রথমে সবজি গাছের আকার বিবেচনা করে পাত্র বাছাই করতে হবে এবং বড় সবজি গাছের জন্য অবশ্যই ড্রাম বা বালতি ব্যবহার করতে হবে। এরপর পাত্রে সঠিক নিয়মে মাটি ভরাট করতে হবে। মাটির সঙ্গে অবশ্যই জৈব সার পরিমাণমতো মেশাতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আকার অনুযায়ী প্রতি পাত্রে দুই ভাগ মাটির সঙ্গে এক ভাগ গোবর-সার ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। গোবর-সার পাওয়া না গেলে পরিমাণ মতো জৈব কম্পোস্ট-সার ব্যবহার করতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে এটিও একটি লাভজনক উদ্যোগ এবং এটা বাড়ির সৌন্দর্য বাড়ায়।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর