টানা বর্ষণে প্লাবিত কলমাকান্দা, খাবার সংকট

নেত্রকোনা, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নেত্রকোনা | 2023-08-24 05:16:57

ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের কয়েক সহস্রাধিক বাড়িঘর। এতে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন ওই পাঁচ ইউনিয়নের পানিবন্দী পরিবারগুলো।

এছাড়া ওইসব ইউনিয়নের কাচা ও পাকা রাস্তাগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে গৃহবন্দী হয়ে সময় পার করছেন কয়েক হাজার পরিবারের মানুষ।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় কলমাকান্দা উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে করে প্রায় তিন হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং উপজেলা সদরের সাথে বিভিন্ন ইউনিয়নের পাকা সড়ক ও স্থানীয় সংযোগ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

গত দু’সপ্তাহ আগেও এ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

জানা গেছে, পাহাড়ি ও টানা বর্ষণে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বড়খাপন, খারনৈ, কলমাকান্দা, রংছাতী ও পোগলা ইউনিয়ন বাসিন্দারা।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বাড়তে শুরু করেছে সোমেশ্বরী নদী ও কংস নদের পানি। এর প্রভাবে জেলার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী, মদন ও কেন্দুয়া উপজেলার নিচু এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দুর্গাপুরের বিরিশিরি পয়েন্টের পানির গেজ রিডার নাঈম আহমেদ জানান, সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার এবং কংস নদের পানি জারিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মানু মজুমদারের সাথে কথা হলে তিনি কলমাকান্দা উপজেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়ে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুর্নবাসনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা জরুরি। আর এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর