বন্যার পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে চলনবিলের বিভিন্ন জলাশয়, নদী-নালা, খাল-বিলে দেশি মাছ ধরার মহোৎসব শুরু হয়েছে। এক শ্রেণির অসাধু জেলে নদী ও বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে কুচ, বাদাই ও কারেন্ট জাল এবং বানার বাঁধ দিয়ে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব মাছ ধরছে।
স্থানীয় হাট বাজারে প্রকাশ্যে এসব মাছ বিক্রি করলেও মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তা নজরে পড়ছে না।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) চলনবিল ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ডাহিয়া ও বিলদহরসহ বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রকাশ্যে এক শ্রেণির অসাধু জেলে কুচ, বাদাই জাল এবং বানার বাঁধ দিয়ে ডিমওয়ালা বোয়াল, টেংরা, পাতাসী, পুঁটি, মলাসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরছে। কিন্তু সরকারিভাবে মা মাছ ধরার বিষয়ে নিষেধ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, এ সময়টা মাছের প্রজননকাল। চলনবিলের মা মাছ ধরা না হলে তা বিলের মুক্ত জলে ডিম ছাড়ত। এতে বিলে মিঠা পানির মাছ কয়েকশ গুণ বৃদ্ধি পেত।
তিনি আরও জানান, নির্বিকারে মা মাছ ধরা হচ্ছে, তাই দেশীয় প্রায় ৩৯ প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। তবে মা মাছ রক্ষায় বিভিন্ন মহল থেকে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এর সঙ্গে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত। তাই তাদের প্রতিহত করা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সিংড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।