বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ যেন মরণ ফাঁদ!

গাইবান্ধা, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গাইবান্ধা | 2023-08-25 16:39:00

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ-কামারজানি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিশাল বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় কয়েক গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।

স্থানীয়রা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধুমাইটারী ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। উপজেলা শহরের সাথে পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো এই বাঁধ। প্রতিদিন ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে বাঁধর উপর দিয়ে।

উপজেলার কাপাসিয়া, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, হরিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম ও বেলকা ইউনিয়নবাসীর চলাচলের একমাত্র মাধ্যম বাঁধটি। হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়ক হিসেবে ইতিমধ্যে বাঁধটিতে মাটি ভরাটের আংশিক কাজ করা হয়েছে। দীর্ঘ এক বছর ধরে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ থাকায় ৩০ কিলোমিটার বাঁধটির মধ্যে প্রায় ৩০টি স্থানে বিরাট গর্তের সৃস্টি হয়েছে। যে কারণে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে বেলকা বাজার থেকে ধুমাইটারী পর্যন্ত ৫টি বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

পথচারী শাহ আলম ও আল-আমিন মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, মাটি কাটার পর থেকে বাঁধটির উপর দিয়ে যানবাহন নিয়ে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে যাওয়ায় সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে।

ধুমাইটারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আফছানা খাতুন বলেন, বাঁধটির বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

বেলকা বাজারের অটোবাইক চালক মেহেদী হাসান বলেন, রাতের বেলায় গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে অনেক ভয় হয়। যে কোন মুহূর্তে সড়ক দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার সর্তক বার্তার সাইনবোর্ডও ঝুলানো হয়নি।

হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, তার ইউনিয়নের বিবিসির মোড় থেকে পাঁচপীর বাজার পর্যন্ত ছোট বড় প্রায় ১০টি গর্ত হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে দুরাবস্থার কথা জানা ছিল না বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মুনছুর। এ প্রতিবেদকের কাছে গর্ত ভরাটের ব্যবস্থা করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান জানান, বিষয়টি তারও জানা নেই। দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর