ছাতা কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে

কুষ্টিয়া, দেশের খবর

এস এম জামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুষ্টিয়া, | 2023-08-24 13:29:26

এখন বর্ষা মৌসুম, আষাঢ় মাসও শেষের দিকে। তবুও তেমন একটা দেখা মিলছে না বৃষ্টির। তবে আরও কয়েকদিন পর বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। ফলে রোদ-বৃষ্টির অন্যতম অনুষঙ্গ ছাতার ব্যবহার বাড়ছে। যাদের ছাতা নষ্ট তারা ছাতার কারিগরের কাছে এবং যাদের ছাতা নেই তারা নতুন ছাতা কিনছেন। ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে কুষ্টিয়ার ছাতা বিক্রেতা ও কারিগরদের।

কুষ্টিয়ার ছাতা কারখানার মালিক, কারিগর ও ব্যবসায়ীরা জানান, আষাঢ় মাস শেষ হতে চলেছে। ইতোমধ্যে ছাতার বাজার সরগরম হয়ে উঠেছে। বিক্রি বাড়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে ছাতা কারিগরদের। ফলে সকাল থেকে রাত অবধি চলছে ছাতা তৈরির কাজ।

শহরের বড়বাজার, মজমপুর ও এন এস রোডে ছাতার দোকান ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ও সাধারণ ক্রেতারা দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। বিক্রি হচ্ছে দেশি-বিদেশি ছাতা। শিশুদের জন্য আছে বাহারি নকশার ছাতাও।

কুষ্টিয়ার দেশওয়ালীপাড়া এলাকায় গড়ে উঠেছে সোয়ান ব্যান্ডের ‘হাঁস মার্কা’ ছাতার কারখানা। বর্তমানে সেখানে কাজ করেন ২৫-৩০ জন কারিগর। যাদের কেউ ছাতার কাপড় কাটেন, কেউ ভাঁজ করেন, আবার কেউ ছাতায় হ্যান্ডেল সংযুক্ত করার কাজ করেন।

ষাটোর্ধ্ব রেজাউল ইসলাম জানান তিনি তিন যুগের বেশি সময় ধরে কারখানাটিতে কারিগর হিসেবে কাজ করছেন।

কারিগর বাচ্চু মিয়া জানান, আগে দৈনিক মজুরি হিসাবে কাজ করলেও এখন ডজন হিসাবে ছাতা তৈরি করেন। সারাদিনে প্রত্যেক কারিগর এক ডজন ছাতা তৈরি করতে পারেন। যার জন্য তারা প্রত্যেকে দৈনিক ৫-৬শ’ টাকা মজুরি পান।

হাঁস মার্কা ছাতার ব্যবস্থাপক মো. কামরুজ্জামান মিয়াজী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বাজারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ছাতা বিক্রি হচ্ছে। বিদেশি ছাতা আমদানিকারকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা এখান থেকে ছাতা কিনে নিয়ে যান।’

মজমপুর গেটের মেসার্স ইসলাম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবুজর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমাদের এখানে খুচরা ও পাইকারি ছাতা বিক্রি হয়। বর্তমানে ফোল্ডিং ছাতার চাহিদা বেশি, যা চীন থেকে আমদানি করা হয়। তবে ভাঁজহীন দেশি ছাতা ১৫০-৩৫০ টাকা, দেশি-বিদেশি দুই ভাঁজের ছাতা আড়াইশ সাড়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় কেবল আমরাই ছাতা তৈরি করি। স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে এই ছাতা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।’

ছাতা কিনতে আসা কুষ্টিয়ার লক্ষ্মীপুর খাতের আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আ. সাত্তার বলেন, ‘আমার স্ত্রী চাকরি করে, মেয়ে কেবল স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। এখন বৃষ্টির সময়, তাই পরিবারের সবার জন্য ছাতা কিনতে এসেছি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর