ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়ন ও শহরের মাদরাসা পাড়া থেকে দুই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের ভেলারহাট গ্রাম থেকে বিথি রাণী শর্মা (১৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে রুহিয়া থানা পুলিশ।
অপরদিকে একই সময়ে শহরের ১নং ওয়ার্ড মাদরাসা পাড়া থেকে রুকসানা বেগম (৩৪) নামে আরেক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ।
নিহত বিথি রাণী ভেলারহাট গ্রামের জ্যোতিষ রায়ের স্ত্রী ও নিহত রুকসানা বেগম মাদরাসা পাড়ার রনজু আলীর স্ত্রী।
এদিকে নিহত বিথি রাণীর পরিবার অভিযোগ করে জানান, শ্বাসরোধ করেই হত্যা করা হয়েছে তাদের মেয়েকে। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি আত্মহত্যা করেছেন বিথি।
নিহত বিথির পরিবার বলেন, 'ছয় মাস পূর্বে আখানগর ইউনিয়নের ভেলারহাট গ্রামের বাসিন্দা জ্যোতিষ রায়ের সঙ্গে বিথি রাণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর হতেই যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। মঙ্গলবার সকালে জ্যোতিষ রায় তার স্ত্রী বিথি রানীকে ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। সে যেতে রাজি না হলে স্বামী তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে জ্যোতিষ। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে লাশ ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় সে। খবর পেয়ে রুহিয়া থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।'
অপরদিকে নিহত রুকসানার পরিবার বলেন, 'অতিরিক্ত ঋণগ্রস্ত হওয়ায় আত্মহত্যা করেছে সে'।
এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে বলে জানান রুহিয়া থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায়। তিনি বলেন, 'বিথি রানী মেয়েটি কীভাবে মারা গেছে তা নিশ্চিত হতে লাশ তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে জানা যাবে বিথির মৃত্যু রহস্য।'
এদিকে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, 'রুকসানার মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।'