ঝিনাইদহে হত্যা, বিস্ফোরক ও মাদক মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৩০ জুন) দুপুরে ঝিনাইদহে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম, দ্বিতীয় ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আযম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার হাজিডাঙ্গা গ্রামের মৃত আফজাল মন্ডলের ছেলে নাজিম উদ্দিন, মায়াধরপুর গ্রামের মজিবর মন্ডলের ছেলে আসমত আলী, শ্রীপুর গ্রামের মৃত হাজারী মন্ডলের ছেলে তক্কেল মন্ডল ও কুটিদুর্গাপুর গ্রামের মৃত শরিফুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম ভুটান, মহেশপুর উপজেলার মাইলবাড়ীয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী আমেনা খাতুন, মফিজ উদ্দিনের মেয়ে রাবেয়া খাতুন ও খলিলুর রহমানের স্ত্রী মজিদা খাতুন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে আব্দুল গনিকে বোমা মেরে হত্যা করে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা। ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় চারজনকে আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। ওই বছরেই পুলিশ চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত নাজিম উদ্দিন, আসমত, তক্কেল ও নজরুল ইসলাম ভুটানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ মামলায় তক্কেল ও নজরুল ইসলাম ভুটান পলাতক রয়েছেন।
অপরদিকে, ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর বাজার থেকে ফেনসিডিলসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিন পুলিশ বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মাদক মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে ওই বছরের শেষের দিকে পুলিশ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সাক্ষ্য গ্রহণ ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আমেনা খাতুন, মজিদা খাতুন ও রাবেয়া খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ মামলার অপর আসামি তারা মিয়া মারা গেছেন।