বরখাস্তের পরও হাজিরা খাতায় শিক্ষকের স্বাক্ষর!

নাটোর, দেশের খবর

Kamrul DUMC | 2023-08-04 22:45:35

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় গফুরাবাদ স্কুলের এক ছাত্রীকে একা পেয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেফতার ও সাময়িক বহিষ্কৃত হন ইংরেজীর শিক্ষক আবুল কালাম।

সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ে নিজের বড় ভাই ও প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় স্কুলের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার করা না হলেও স্কুলের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরের ঘটনায় ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করছেন স্কুলটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে কমনরুমে একা পেয়ে যৌন নিপীড়ন করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। পরে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে ছাত্রীর বাবার দায়ের করা মামলায় শিক্ষক আবুল কালামকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং পরবর্তীতে ম্যানেজিং কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

কিভাবে নিজের বহিষ্কৃত শিক্ষক ভাই হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন- জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক আবু সাইম বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কোনো শিক্ষক স্কুলের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিতে পারবেন না, এমনটা আমার জানা ছিল না। তাই দুই দিন তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। পরে বিষয়টি জেনে স্বাক্ষর নেওয়া বন্ধ করা হয়েছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করেন, শিক্ষক আবুল কালামের বিরুদ্ধে দায়ের করা যৌন নিপীড়নের একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অথচ স্কুল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বহিষ্কারাদেশও প্রত্যাহিত হয়নি। অভিযুক্ত আবুল কালামের ভাই ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক হওয়ায় তার যোগসাজশে আবুল কালাম হাজিরা খাতায় অবৈধভাবে স্বাক্ষর করতে পেরেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ প্রতিষ্ঠানের দুইজন সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক নিজ ক্ষমতাবলে ভাইয়ের অন্যায়কে শুরু থেকেই প্রশ্রয় দিয়েছেন। জামিনে মুক্তির পর তাকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও করিয়েছেন।’

বাঘাতিপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ‘স্কুল কমিটির সভাপতি স্বাক্ষর গ্রহণের বিষয়টি তাকে অবহিত করলে তিনি প্রধান শিক্ষককে এ ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এর পর থেকে ঐ শিক্ষক আর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেননি।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা দেবী পাল পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর