টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদ হত্যা মামলায় সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই মামলায় চিকিৎসকসহ দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে এই মামলার মোট ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রাশেদ কবিরের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এর আগে বুধবার (১৯ জুন) এমপি রানাকে ঢাকার কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইলে আনা হয়।
টাঙ্গাইলের কোর্ট পরিদর্শক তানভীর আহাম্মেদ জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দুই সাক্ষীকে হাজির করা হয়। এরা হলেন- চিকিৎসক আশরাফ আলী এবং আব্দুল আওয়াল। দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি পক্ষ থেকে তাদের জেরা সম্পন্ন করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহম্মেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় তৎকালীন সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ও তার ভাইদের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।
২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় আমানুর রহমান খান রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে।