ঈদে দৃষ্টি কেড়েছে ‘বোতল বাড়ি’

লালমনিরহাট, দেশের খবর

নিয়াজ আহমেদ সিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লালমনিরহাট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 04:39:16

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মানুষের নজর কেড়েছে ‘বোতল বাড়ি’। বাড়িটি নির্মাণ করেছেন রাশেদুল আলম ও তার স্ত্রী আসমা খাতুন। বর্তমানে তারা এই বাড়িতে বসবাস করছেন। দেশে প্রথমবারের মতো প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন পরিবেশ বিজ্ঞানের এই শিক্ষক দম্পতি।

আলোচিত 'বোতল বাড়ি' দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করেন দর্শনার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪

 

এদিকে, ঈদে শহর থেকে গ্রামে যাওয়া অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দেখতে আসছেন আলোচিত এই বোতল বাড়িটি। অনেকেই বলছেন, ভবিষ্যতে তারাও এমন বাড়ি তৈরির চেষ্টা করবেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদে বাড়িটি দেখতে অনেকে আসবেন এজন্য বোতল বাড়ি ঘিরে বসেছে বিভিন্ন দোকান। এক হাজার ৭০০ স্কয়ার ফুটের বাড়িটি তৈরির কাজ প্রায় শেষ। বাড়িটি তৈরি করতে বিভিন্ন রংয়ের বোতল ব্যবহার করেছেন তারা। তবে বাড়িটিতে কোনও ইট ব্যবহার করা হয়নি।

বোতল বাড়ির একটি দেয়াল, ছবি: বার্তা২৪

 

বাড়ির মালিক রাশেদুল আলম ও তার স্ত্রী আসমা খাতুন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বাড়িটি দেখতে গত বছর ঈদে অনেক পর্যটক এসেছিলেন। সেবার তাদের প্রশ্নে আমাদের হিমসিম খেতে হয়েছে। এবারও ঈদে অনেক মানুষ বাড়িটি দেখতে আসবেন- সেটা আমরা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম। তবে ঈদের আগে ও পরে আমরা কোথাও ঘুরতে যেতে পারি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাড়ির আরও কিছু নকশা বাকি রয়েছে। তবে রং তুলি দিয়ে এ পর্যন্ত যেসব ডিজাইন করা হয়েছে তাতে বাড়িটি সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। বাড়িটি দেখতে এসে অনেকে খরচও জানতে চান। অনেকে এমন বোতলের বাড়ি তৈরির ইচ্ছা পোষণ করেন।’

বোতল বাড়ির সামনের অংশ, ছবি: বার্তা২৪

 

কিভাবে বোতল বাড়িতে যাবেন?

লালমনিরহাট শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার বাজারে নামতে হবে। সেখান থেকে যেতে হবে চন্দ্রপুর বাজার। সেখানে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই বোতল বাড়ি দেখিয়ে দেবে।

জানা গেছে, রাজধানীর শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন এই দম্পতি। তাদের স্বপ্ন ছিল পরিবেশবান্ধব একটি বাড়ি তৈরি করা।

অপরিচিত মানুষদের জন্য বাড়ির সামনে টাঙানো হয় নোটিশ, ছবি: বার্তা২৪ 

 

শহর ছেড়ে গ্রামে বাড়ি করলেন কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আসমা বেগম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘গ্রামের চারদিকে সবুজ বনানী আর ফসলের মাঠ। এমন দৃশ্য শহরে কোথায় পাওয়া যেতো না। আমার জন্ম, শৈশব ও বড় হওয়া শহরে। গ্রামের কোলাহলমুক্ত পরিবেশ, সবুজ মাঠ আমাকে শিশুকাল থেকে টেনেছে। এজন্য মূলত গ্রামে এ ধরণের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর