মেহেরপুরে দই মিষ্টি আর মাংসের বাজারে নজরদারি

মেহেরপুর, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর | 2023-08-22 14:09:38

পোশাকসহ অন্যান্য কেনাকাটা প্রায় শেষের দিকে। এখন পালা মিষ্টি এবং দই কেনার। আর ঈদের দিন কেনা হবে মাংস। ক্রেতাদের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এসব অতি প্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট ও চড়া মূল্য আদায় করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। গেল কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা মাথায় নিয়ে এবার বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে প্রশাসন।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও তিন উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দই মিষ্টি ও মাংসের বাজারে নজরদারি করা হচ্ছে। 

দই সাজিয়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত বিক্রেতা, ছবি: বার্তা২৪

 

সংশ্লিষ্টরা জানান, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। দুই ঈদ ঘিরে প্রচুর বেচাকেনা হয় নানা মার্কেটে। আর সারা বছর ঘাপটি মেরে থাকলেও অসাধু কিছু ব্যবসায়ী ঈদের সময়টাতে অবৈধ সুযোগ লুফে নিতে সক্রিয় হয়। বিশেষ করে দই মিষ্টি এবং মাংস স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি দরে বিক্রি করে থাকে।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বলেন, ‘কৃত্রিম সংকট ও মন গড়া বেশি দরে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে তাই আগে থেকেই ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে নামানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদেরকে সতর্ক করা হয়। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল জরিমানা করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।’

ফলের দোকানে ম্যাজিস্ট্রেটের হানা, ছবি: বার্তা২৪

 

মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সোমবার থেকেই দই মিষ্টি কিনতে হোটেল ও মিষ্টির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়। চমচম কালোজাম ২০০ টাকা কেজি, আপেল ভোগ, ক্রিম জাম, খেজুর, ছানা মুরকি ও সাদা চমচম ২৬০ টাকা কেজি। স্পেশাল চমচম, প্যারা সন্দেশ ও কমলাভোগ ৩৬০ টাকা কেজি।

দই ৩০ টাকা ও স্পেশাল দই ১৭০ টাকা কেজি দর হিসেবে তালিকা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মিষ্টি এবং দই এর দাম বেশি নেয়া হচ্ছে। 

দই, ছবি: বার্তা২৪

 

এদিকে, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৮০ টাকা, খাসি ৬৫০ টাকা ও সাগির মাংস ৬০০ টাকা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু ঈদের দিন নির্ধারিত দর মানেন না কসাইরা।

সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল বিভিন্নস্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

দই কিনতে ক্রেতাদের ভিড়, ছবি: বার্তা২৪

 

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দরে বিক্রি করলে তাৎক্ষণিক বিচারের মাধ্যমে সাজা দেয়া হবে।’

বেকু শহরের কয়েকজন মাংস ব্যবসায়ী জানান, ঈদের সময় সব জিনিসের দাম এমনিতে বেড়ে যায়। এতে কিছুটা বেশি দরে বিক্রি না করলে ব্যাপারীদের পোষায় না। 

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বলেন, ‘ঈদের আনন্দ কোনোভাবে যেন ম্লান না হয় সেজন্য সবার সহযোগিতা কাম্য।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর