বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও তারাকান্দি সড়কে খানাখন্দ, চরম ভোগান্তি

টাঙ্গাইল, দেশের খবর

অভিজিৎ ঘোষ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪, টাঙ্গাইল | 2023-08-10 22:19:50

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-তারাকান্দির ছয় কিলোমিটার সড়কে গর্ত ও খানাখন্দের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চালক ও যাত্রীরা। ঈদে আগে এই ভোগান্তি আরও চরম আকার ধারণ করেছে।

সোমবার (৩ জুন) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের গোবিন্দাসী হতে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কে জুড়ে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এরসঙ্গে বৃষ্টির পানি জমাট বেঁধে খানাখন্দগুলো গর্তে পরিণত হয়েছে। সড়কের মাটিকাটা বাজার, পুনর্বাসন, পাথাইলকান্দি বাজার, সিরাজকান্দি ও সেতু এলাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ প্রতিবছর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই সড়কে টোল আদায় করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)।

বিবিএ সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের গোবিন্দাসী-সেতু পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়ক সেতুর গাইড বাঁধ হিসেবে পরিচিত। সড়কের এই ছয় কিলোমিটার শুধুমাত্র ট্রাক চলাচলে টোল ব্যবস্থা চালু করে সেতু কর্তৃপক্ষ। গত বছর এই সড়কে ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয় স্থানীয় মেসার্স সুমন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। নিয়ম অনুযায়ী এই সড়কে বড় ট্রাক ১৫০ টাকা, মাঝারি ট্রাক ১০০ ও ছোট ট্রাক ৪০ টাকা হারে টোল আদায় করা হয়।

জানা গেছে, সেতুর গাইড বাঁধ হিসেবে পরিচিত বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব-তারাকান্দি সড়কের সেতু হতে গোবিন্দাসী পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার। আর এই সড়ক ব্যবহার করে বালুর ট্রাক চলাচল করায় টোল আদায় শুরু করে সেতু কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হলেও খানাখন্দ ও গর্ত মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এছাড়া সড়কের দু’পাশের সফট সোল্ডার করা হলেও তা বৃষ্টির পানিতে ধসে গেছে। ফলে সাধারণ মানুষকে মূল সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

সিরাজকান্দি বাজারের ব্যবসায়ী চন্ডী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সেতুর কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে সড়কের এই বেহাল দশা। সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় না। অনেক সময় সড়কের পানি ছিটকে পাশের দোকান ঘরে চলে আসছে। এতে দোকানের মালামাল নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া অনেকেই খানাখন্দে পড়ে আহত হচ্ছেন।

সড়কে চলাচলকারী বালুবাহী ট্রাক চালক রহিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সড়ক ব্যবহার করতে কর্তৃপক্ষকে টাকা দিতে হচ্ছে। অথচ সড়কের বেহাল দশা। সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুমন এন্টারপ্রাইজের কয়েকজন কর্মকর্তা বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহন চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। কয়েকমাস আগেও সড়কে সামান্য সংস্কার করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। মাস যেতে না যেতেই আবার খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি টোল আদায়ের ঘরের সামনেও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বারবার কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বলা হলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’

বঙ্গবন্ধু সেতুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সড়কটি সংস্কার কাজের জন্য কয়েকটি প্রাক্কলন পেয়েছি। শিগগিরই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর