দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের দিন থেকে সপ্তাহব্যাপী দর্শক টানতে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে ঝিনাইদহের বিনোদন স্পটগুলো। চলছে ধোয়া, মোছা, পরিচর্যা আর নতুন নতুন রাইডার স্থাপনের কাজ।
উদ্দেশ্য, গত কয়েক মাসের দর্শক খরায় লোকসানের হিসাব পোষানো। তাইতো সকাল থেকে রাত অবধি নানা পরিচর্যায় ব্যস্ত বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মালিক-শ্রমিক।
ঝিনাইদহ শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্ক অ্যান্ড পিকনিক স্পট। গত কয়েক মাসে দর্শনার্থী না থাকায় আয়ের থেকে ব্যয় হয়েছে বেশি। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগত দর্শনার্থীদের বিনোদন দিতে পার্কটি সাজাতে তারা ব্যস্ত সময় পার করছে।
পার্কের ম্যানেজার হাসানুজ্জামান বাবু জানান, এবারের ঈদে দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ১২৫ বিঘা জমির উপর অবস্থিত এ পার্কে ২৫টি ভিআইপি পিকনিত স্পট রয়েছে। এছাড়াও এখানে রয়েছে জেট কোস্টার, কেইভ ট্রেন, পাইরেট শিপ, প্যাডেল বোট, ওয়াটার রিকশা, ফানি অ্যাডভেঞ্চার, নাগর দোলা, সুইং চেয়ার, কিডস জোনসহ নানা রাইডস। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া হয়েছে বিশেষ ছাড়।
শহরের নবগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত প্রান্তিক সাংস্কৃতিক পল্লী অ্যান্ড শিশু পার্কের মালিক নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস জানান, কয়েক মাস আগে শিশু পার্কটির উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পার্কটি সাজানো হয়েছে। এখন চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। দর্শনার্থী টানতে সংযোজন করা হয়েছে নতুন নতুন রাইডার।
শহরের তামান্না পার্কের ম্যানেজার রুহুল আমিন জানান, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। পূর্বে ৫টি টিকিট ১৫০ টাকা ছিল। এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তার মূল্য ধরা হয়েছে ১শ টাকা।
জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্ক অ্যান্ড পিকনিক স্পটের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মূলত পার্কের ডাউন সিজন। এ সময় দর্শনার্থী থাকে না। যে কারণে ব্যবসায় লোকসান গুনতে হয়। ঈদের দিন থেকে শুরু করে ৫ দিন পার্কে ভিড় থাকবে। এই ক’দিনে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার দর্শনার্থী আসবে বলে আশা করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, শহরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ তৎপর থাকবে।