কাঁঠালবাড়ী ঘাটে মোটরসাইকেলই ভরসা

মাদারীপুর, দেশের খবর

মাসুদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গোপালগঞ্জ | 2023-08-25 12:39:12

মাদারীপুর থেকে: ঈদকে সামনে রেখে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে বাড়ি ফিরছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। আর তাই যানবাহনগুলোতে রয়েছে প্রচুর ভিড়।

এ কারণে ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরতে মোটরসাইকেল বেছে নিচ্ছে যাত্রীরা। বাস বা মাইক্রোবাসে সিট পেতে সমস্যা হওয়ায় এখন মোটরসাইকেলই যাত্রীদের ভরসা।

কাঁঠালবাড়ী ঘাটে পরিবহনের জন্য রয়েছে শতাধিক মোটরসাইকেল। ভাড়া বেশি হলেও এর মাধ্যমে অল্প সময়ে কোনো ভোগান্তি ছাড়াই বাড়িতে পৌঁছানো যায়।

মাদারীপুরের শিবচর, ভাঙ্গা, রাজৈর, কালকিনি, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর, বরইতলা, টেকেরহাট, কাশিয়ানীসহ ফরিদপুরের কয়েকটি অঞ্চলের মানুষ কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে বাড়ি পৌঁছাতে মোটরসাইকেল বেশি ব্যবহার করছে। তবে বাসে পরিবহন সম্ভব না হলে দূরের যাত্রীরাও গন্তব্যে পৌঁছাতে মোটরসাইকেল ব্যবহার করছে।

ঘাটের মোটরসাইকেল চালক সমিতি সূত্রে জানা যায়, কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে মোটরসাইকেলে মাদারীপুর যেতে ৫শ টাকা, টেকেরহাট ৬শ টাকা, কালনা ঘাট ১ হাজার টাকা, গোপালগঞ্জ ১২শ টাকা, বরিশাল ১৫শ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হয়। এখানে সবার ড্রাইভিং ও মোটরসাইকেলের লাইসেন্স রয়েছে। যাত্রী বহনের ক্ষেত্রে চালকরা নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে মোটরসাইকেল চালান। ঈদের সময় বাড়তি আয়ের জন্য দিন-রাত মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করছে চালকরা।

শাহরিয়ার মাসুদ নামে এক মোটরসাইকেল যাত্রী বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে স্ত্রীকে নিয়ে আমি ঢাকা থেকে কালনাঘাট এলাকায় নিজ বাড়িতে যাচ্ছি। বাসে প্রচুর ভিড়, তাই সিট পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণেই মোটরসাইকেলে করে বাড়ি যাচ্ছি। ভাড়া বেশি হলেও ভোগান্তিবিহীন ভ্রমণে ভালোই লাগবে।’

মিজানুর রহমান নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘আমি কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে মাদারীপুরের কবিরাজপুর এলাকায় যাচ্ছি। মালামাল নিয়ে বাসে যাওয়া কষ্টকর। তাই মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছি।’

মোটরসাইকেল চালক আব্দুল জলিল বলেন, ‘আমি প্রতি মাসে মোটরসাইকেল চালিয়ে খরচ ছাড়াই ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করি। এখানে আমাদের সমিতি আছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে নিয়ম মেনেই আমরা যাত্রী বহন করি।’

কাঁঠালবাড়ী মোটরসাইকেল চালক সমিতির সভাপতি মোস্তফা মোল্যা বার্তা২৪.কমকে জানান, কাঁঠালবাড়ী ঘাটে মোটরসাইকেল চালিয়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছে। চালকরা নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনেই যাত্রী বহন করে। ঈদের সময় বাড়তি আয়ের উদ্দেশে সবাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ঈদে যাত্রীরা মোটরসাইকেলে করে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর