খাদ্য গুদাম থেকে ফের চাল ফেরত

মেহেরপুর, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর | 2023-08-24 20:24:29

মেহেরপুরের গাংনী খাদ্য গুদাম থেকে ফের চাল ফেরতের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) চাল ক্রয় কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে এ ঘটনা ঘটে।

বাইরের জেলা থেকে চাল নিয়ে আসায় এ সিদ্ধান্ত বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে মিল মালিকদের তালিকা প্রস্তুত নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ৫৭৭ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের জন্য ১৪ জন মিলারের সঙ্গে চুক্তি করে খাদ্য অধিদপ্তর। শর্ত অনুযায়ী নিজ নিজ মিলে চাল তৈরি করে সরকারি গুদামে বিক্রি (সরবরাহ) করতে হবে। চাল তৈরির ধান কিনতে হবে এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে। যাতে ধানের দর বেশি পায় কৃষক।

গেল ২৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে চাল ক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়। মিল মালিকরা দুই ট্রাক চাল নিয়ে এসেছিলেন। চাল ওজনের এক পর্যায়ে আর্দ্রতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সরকার নির্ধারিত আর্দ্রতা ১৪ ভাগের বেশি থাকায় তা ফেরত দেয় খাদ্য বিভাগ।

এ ঘটনার পর মঙ্গলবার অন্য এক মিলার দুই ট্রাক চাল নিয়ে আসে গাংনী সরকারি খাদ্য গুদামে। ওজন করে গুদামে ঢোকানোর সময় চাল তৈরির স্থান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়নি এবং চালও তৈরি করা হয়নি তালিকাভুক্ত মিলারদের মিলে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী চাল ফেরত দেয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে চাল ফেরতের ঘটনায় মিল মালিকদের সক্ষমতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগে জানা গেছে, তালিকাভুক্ত ১৪ জন মিলারদের বেশিরভাগের মিল চলে না। কয়েকজনের চাতাল থাকলেও মিল নেই। তারপরেও মিলের লাইসেন্স বাতিল হয়নি। কাগজে-কলমে তাদের মিলের অস্তিত্ব রয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। মিল না থাকলেও তারা মিলার বনে গিয়ে সরকারি গুদামে চাল দিয়ে আসছেন। ফলে বাইরের এলাকার অটো রাইস মিল থেকে চাল কিনে এনে গুদামে দিচ্ছেন তারা। এতে এলাকার কৃষকরা ধান বিক্রি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই ওই ১৪ জন মিলার কোন নীতিমালায় তালিকাভুক্ত হয়েছে তা যাচাই-বাছাই ও মিল নেই এমন মিলারদের লাইসেন্স বাতিলের দাবি উঠেছে।

অপরদিকে প্রকৃত মিলারদের নাম তালিকাভুক্ত করে তাদের মিলের উৎপাদিত চাল ক্রয়ের দাবি করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেহেরপুর জেলা খাদ্য অফিসের একটি সূত্র জানায়, মিল না থাকলেও তারা মিলার এমন ধারা চলে আসছে। বিষয়টি নিয়ে এখন চিন্তিত খাদ্য অধিদপ্তর।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর