সুস্বাদু তরকারি হিসেবে ঝিঙের কোনো জুড়ি নেই

কুষ্টিয়া, দেশের খবর

এস এম জামাল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া | 2023-08-31 16:24:02

সুস্বাদু তরকারি হিসেবে ঝিঙের কোনো জুড়ি নেই। ফলে বছরভর ক্রেতামহলে এর চাহিদা রয়েছে। এবার জৈব সারে খাদ্যগুণে ভরা সতেজ ঝিঙে চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছে মিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া, ফকিরাবাদ, কেউপর, তেঘরিয়া, ভারোল, কামিরহাট গৌড়দহ, কেউপুর, নওপাড়া ফুলবাড়িয়া ও চিথলিয়া এলাকায় বিভিন্ন জমিতে প্রচুর ঝিঙে চাষ করা হচ্ছে।

ঝিঙে চাষ করে যাতে কৃষকরা বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন, সে বিষয়ে বিশেষভাবে তৎপর সংশ্লিষ্ট দফতর।

রাসায়নিক সারের পরিবর্তে আদর্শ জৈব সার এবং সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে পোকা দমন করে ঝিঙের মতো সুস্বাদু সবজি উৎপাদন করে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন এই উপজেলার কৃষকরা।

পাহাড়পুর গোপালপুর এলাকার কৃষক নাজিম উদ্দিন এক বিঘা জমিতে ঝিঙের চাষ করেছেন। আগাম সবজি হিসেবে ঝিঙে মাঠ থেকে তুলে বাজারে বিক্রি করা শুরু করেছি। প্রতি কেজি ঝিঙে ২৫ থেকে ৩০ টাকা করে বিক্রি করছে।

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, এক বিঘা জমিতে প্রথম ধাপে এক মণ ঝিঙে দিয়ে ফলন ফলানো শুরু হয়। তারপর ধাপে ধাপে প্রায় দেড় কুইন্টাল ঝিঙে উৎপাদন সম্ভব। এক বিঘা জমিতে আর্দশ জৈব সারে এই সবজি উৎপাদন করতে ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা খরচ হয়।

তিনি আরও জানান, এবার মিরপুর উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে ঝিঙে চাষ করা হয়েছে। আমাদের ইউনিয়ন উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সার্বিক মনিটরিং করা হয়ে থাকে এসব ক্ষেতগুলোতে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তাপস কুমার সরকার বলেন, ঝিঙের উপকার অনেক। তেতো ঝিঙে বেটে শরীরের ফোলা অংশে প্রলেপ লাগালে দ্রুত ফোলা কমে যায়। কৃমি, কফ প্রভৃতি রোগেও ঝিঙের ব্যবহারে উপকার মেলে। তবে তরকারি হিসেবে মিষ্টি ঝিঙে চাষ সর্বত্র হয়ে থাকে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর