ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যাওয়া এক ভ্যানচালককে ৭ ঘণ্টা আটকে রেখেছে পুলিশ বলে অভিযোগ উঠেছে। হেনস্থার শিকার ওই ভ্যানচালকের নাম ছকির উদ্দিন। তার বাড়ি হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের নারায়ণকান্দি গ্রামে। রোববার (২০ মে) সকালে থানায় গেলে তাকে ৭ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।
ছকির উদ্দিন জানান, গত ১৬ মে তিনি প্রতিবেশী আশরাফুলের নামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ও হরিণাকুন্ডু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। স্থানীয়ভাবে ওই বিষয়টি আপোষ-মীমাংসা করে দেয় স্থানীয় মাতব্বরা। পরদিন ১৭ মে থানায় হাজির হয়ে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেয়। অভিযোগ প্রত্যাহার করায় তাহেরহুদা ইউনিয়নের ৯নং ওর্য়াডের মেম্বর আনিচুর রহমান ও তার লোকজন ছকির উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে হুমকি-ধামকি দেয়।
এ ঘটনায় রোববার সকালে হরিণাকুন্ডু থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করতে গিয়েছিলেন তিনি। থানায় যাওয়ার পর ডিউটি অফিসার জিডি গ্রহণ করতে গড়িমসি করেন। পরে তাকে অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান এর কাছে যেতে বলেন। ভ্যানচালক ছকির একটি লিখিত ডায়েরি নিয়ে ওসি’র কাছে গেলে তিনি স্থানীয় এক সাংবাদিকের সামনে তাকে লাঠি দিয়ে মারতে যায়। এরপর ওসি আসাদুজ্জামান ছকির উদ্দিনকে থানা হাজতে ঢোকানোর নির্দেশ দেন। ভ্যানচালক ছকির উদ্দিনের কাকুতি-মিনতি না শুনে থানা হাজতে ঢুকানো হয়। হাজতে ২ ঘণ্টা ও হাজতের বাইরে ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাহেরহুদা ইউনিয়নের ৯নং ওর্য়াডের মেম্বর আনিচুর রহমানের ব্যক্তিগত স্বার্থ থাকায় ছকির উদ্দিন জিডি প্রত্যাহার করতে নিষেধ করেছিলেন। এরপর জিডি প্রত্যাহার করায় তাকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। মেম্বার আনিচুর রহমানের সঙ্গে থানার ওসির আঁতাত থাকায় ছকির উদ্দিন পরবর্তী জিডি করতে গেলে তাকে হেনস্তা করা হয় বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, ছকির উদ্দিন যে জিডি করেছিলেন সেই জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা একটু বাইরে ছিল। তাই তাকে বসতে বলেছিলাম। তাকে হাজতে আটক করা হয়নি।