রাত ৮টা। ঢাকায় কাজ শেষে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে আন্তনগর (দ্রুতযান) ট্রেনে করে রাওনা হলাম ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশে। সিট পেলাম শোভন চেয়ারে। শুরু হলো ট্রেন চলা।
সোমবার (১৯ মে) ভোররাতে লক্ষ্য করা গেল কোনো স্টেশনেই করা হচ্ছে না অ্যানাউন্সমেন্ট। কখন কোন স্টেশনে এসে ট্রেনটি থামছে সেটি শুধু বলা হচ্ছে সামনের দুটি এসি বগিতে। যার ফলে বিভ্রান্তের মধ্যে পড়তে হচ্ছে শোভন বগিতে থাকা বেশির ভাগ যাত্রীদের। অথচ সব বগিতেই স্পিকার রয়েছে।
শুধু বগির অ্যানাউন্সমেন্ট নিয়েই সমস্যা নয়, ট্রেনের বেশ কয়েকটি বাথরুমের দরজার ছিটকিনিও অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যার ফলে রাতে বাথরুমে যেতে অনেকেই বিপদের মুখে পড়েছে। সব থেকে বেশি বিপদে পড়েছে নারী যাত্রীরা। কোনো উপায় না পেয়ে একজনকে দরজার সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে যেতে হয়েছে বাথরুমে।
নাটোর থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে আসছিলেন পলক নামে এক যাত্রী। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ট্রেনে ভিড় থাকার পাশাপাশি নানা সমস্যা রয়েছে। ট্রেনটি থামার পরে অ্যানাউন্সমেন্ট হচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়ছে যাত্রীরা।’
আরিফ হোসেন নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘আমি পীরগঞ্জ যাব। ট্রেনে করে এই প্রথম যাচ্ছি। ট্রেনটি থামার পরে অ্যানাউন্সমেন্ট না করায় বিপাকে পড়েছি। আশপাশের মানুষকে জিজ্ঞাস করে জানতে হচ্ছে কোন এলাকায় পৌঁছালাম।’
রোজিনা বেগম নামে এক যাত্রী বার্তা২৪.কমকে জানান, রাতে বাথরুমে যাব, কিন্তু দরজার ছিটকিনিটি নষ্ট। কোনো উপায় না পেয়ে আমার ছোট মেয়েকে দরজার সামনে রেখে বাথরুমে যেতে হয়েছে।’
অবশেষে এমনি অভিযোগ শুনতে শুনতে চলে আসলাম ঠাকুরগাঁওয়ে। অভিযোগগুলোর বিষয়ে কথা হলো ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশনের মাস্টারের সঙ্গে।
স্টেশন মাস্টার অনুপ বার্তা২৪.কমকে জানান, ইলেকট্রিক সমস্যার কারণে হয়তো অ্যানাউন্সমেন্ট করা যায়নি। তবে এগুলোর বিষয়ে কমলাপুর স্টেশনে অভিযোগ করলে এর সমাধান বের হবে। আর বাথরুমের বিষয়টি নিয়ে কোনো যাত্রী এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। যদি করে তাহলে হয়তো এটা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।