রোদের ঝিলিকে ধান শুকাতে ব্যস্ত গৃহবধূরা

গাইবান্ধা, দেশের খবর

তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা | 2023-08-31 23:24:25

গাইবান্ধার গ্রামাঞ্চলে কাটা হচ্ছে আগাম জাতের বিআর-২৮ ধান। কিন্তু এরই মধ্যে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এর প্রভাবে গত তিনদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। এর কারণে কাঁচা ও সিদ্ধ করা ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে কৃষকরা।

তবে রোববার (৬ মে) থেকেই রোদের ঝিলিকের দেখা মিলেছে জেলাতে। ফলে গৃহবধূরা ধান শুকাতে নেমে পড়ে বাড়ির উঠানসহ বিভিন্ন মিল চাতালে। তীব্র দাবদাহ আর প্রখর রোদের মধ্যে ধান শুকাতে ব্যস্ত তারা।

গাইবান্ধার নাগবাড়ী বাজারের রাবেয়া রাইস মিল চাতালে ধান শুকাতে আসা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘আমরা ইরি-বোরো ধান সিদ্ধ করে এক বছরের জন্য খাদ্য হিসেবে মজুদ রাখি। ইতোমধ্যে মজুদকৃত খাদ্য শেষ হয়ে গেছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে ধান সিদ্ধ করতে পারিনি। এখন রোদ পেয়ে নতুন মাড়াই করা চিকন জাতের ধান সিদ্ধ করেছি।’

পলাশবাড়ীর কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, আগাম জাতের বিআর-২৮ ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষ। আর কয়েকদিন পরেই শুরু হবে হাইব্রিড মোটা জাতের ধান কাটার কাজ। তবে এবারে ইরি-বোরো মৌসুমে নানা প্রতিকূলতা পেরুতে হয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণ হয়। শেষ দিকে এসে ফণীর আঘাতে ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে মাড়াই করা ধান রোদে শুকাতে পারেননি। এখন রোদ পেয়ে ধান শুকাচ্ছেন। শ্রমিক হিসেবে কয়েকজন গৃহবধূ কাজ করছে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল কালাম বার্তা২৪.কমকে জানান, বিআর জাতের ধান ইতোমধ্যে কাটা শেষ হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে ধান শুকাতে বিপাকে পড়ে কৃষকরা। এখন রোদ পেয়ে ধান শুকাতে ব্যস্ত গ্রামের গৃহবধূরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর