ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা ঘাট সংলগ্ন নেহালপুর বেড়িবাঁধ। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে বেড়ে যায় যমুনা নদীর পানি। এতে করে বাড়তে থাকে ঢেউ। বড় বড় ঢেউয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নেহালপুর এলাকার বাঁধটি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁশ ও প্লাস্টিকের বেড়া দিয়ে প্রাথমিকভাবে বাঁধ রক্ষার কাজ করা হলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ীভাবে বাঁধ মেরামতের দাবি জানান এলাকাবাসী।
আরিচা ঘাটের অদূরে নেহালপুর এলাকায় দেশ স্বাধীনের আগেই নির্মাণ করা হয় সাড়ে ৩০০ মিটারের এই বাঁধটি। এতে করে বন্যার পানি থেকে রক্ষা পায় কৃষকদের কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি। যাতায়াত রক্ষা পায় আশেপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষ মানুষ। নেহালপুর এলাকার এই বাঁধ হয়েই যেতে হয় তেওতা জমিদার বাড়ি।
এছাড়াও বেশ কয়েকটি সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ একাধিক মসজিদ এবং মাদরাসা রয়েছে শিবালয়ের তেওতা এলাকায়। নেহালপুর বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে যমুনার গর্ভে বিলীন হবে এসব প্রতিষ্ঠান।
শিবালয় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবু বার্তা২৪.কম-কে জানান, নেহালপুরের এ বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আরিচা হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আসা যাওয়া করেন। ২০১২/১৩ অর্থ বছরে বাঁধটি মেরামতের জন্য ৪৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গাইড ওয়াল এবং ব্লক বসানো হয়। কিন্তু সম্প্রতি সেই গাইড ওয়ালে ফাটল ধরে হুমকির মুখে পড়েছে বেড়িবাঁধটি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধের স্থায়ী মেরামত সম্পন্ন না হলে বড় ধরনের ঝুঁকিতে থাকবে ওই বেড়িবাঁধটি।'
স্থানীয় তেওতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে যমুনার পানি বাড়তে থাকায় বড় বড় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নেহালপুর এলাকার বাঁধটি। প্রশাসনের নির্দেশে বাঁধ রক্ষায় প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাঁশের খুঁটির মাধ্যমে প্লাস্টিকের বেড়া বসানো হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্টরা বাঁধটি মেরামতে উদ্যোগ নেবে।'
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম ফিরোজ মাহমুদ বার্তা২৪.কম-কে জানান, নেহালপুর এলাকার বেড়িবাঁধটি সম্প্রতি সময়ের ঝড় বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নেহালপুর এলাকার ওই বাঁধটি প্রাথমিকভাবে মেরামত করা হয়েছে। তবে স্থায়ীভাবে বাঁধটি দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।