ফণী: মেহেরপুরে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি

মেহেরপুর, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর | 2023-08-30 01:23:42

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে মেহেরপুর জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (৪ মে) সকালে জেলার বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণ হয়। এতে মাঠভর্তি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষকরা। অপরদিকে নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ফণী মেহেরপুর জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও ঝড়ের তীব্রতা তেমন ছিল না। তবে ভারী বর্ষণ হওয়ায় বেশির ভাগ ধান ক্ষেতে পানি জমে গেছে। অনেক মাঠে কেটে রাখা ধান এখন পানির নিচে। এছাড়াও জেলার নিচু এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

শিশিরপাড়া গ্রামের ধান চাষি জিনারুল ইসলাম দিপু বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে ধান কাটতে পারিনি। ৩ বিঘা পাকা ধানের জমিতে পানি জমেছে। আমাদের মাঠে অনেকের ধান নুয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হবে।’



ধর্মচাকী গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘উঁচু-নিচু সব জমিতেই পানি জমেছে। এখন ধান কাটা যাবে না। পাকা ধান ক্ষেতে থাকায় ফলন বিপর্যয় হবে।’

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. আখতারুজ্জামান জানান, ২১ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রয়েছে। নতুন জাতের ধান (ব্রি ধান ৫৮, ব্রি ধান ৬৩, ব্রি ধান ৫০, ব্রি ধান ৮১ ও ব্রি ধান ৮৬) খাড়া রয়েছে। ব্রি ধান ২৮ ও স্থানীয় জাতের ধান বেশি নুয়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে মাঠে কাজ করা হচ্ছে।

এদিকে ফণী নিয়ে গত কয়েকদিন কিছুটা হলেও আতঙ্কিত ছিল মেহেরপুর জেলাবাসী। তবে ফণী মেহেরপুর জেলার উপর দিয়ে গেলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রেখেছি। এখনো পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির তেমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর