কক্সবাজার উপকূল থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে ফিরছে মানুষ

কক্সবাজার, দেশের খবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 22:30:22

বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় কক্সবাজারেরর উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিভিন্ন সংস্থার ১০ হাজারেরও বেশি কর্মী। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে উপকূল থেকে ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার (৩ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাগর তীরবর্তী এলাকা থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে ফিরতে শুরু করেছে।

এর আগে, বিকেল থেকে ফণীর প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়া চলছে।

আশ্রয় কেন্দ্রে আসা আলী আকবর বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রচণ্ড বাতাস হচ্ছে। তাই বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে বাধ্য হলাম। এখানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

কেন্দ্রে আসা আরেকজন মমতাজ বেগম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বাতাসে ঘর ভেঙে গেছে। তাই আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছি। এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে ভাল আছি।’

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিপিপির ৬ হাজার ৪৫০ জন কর্মী রয়েছে। এদরে মধ্যে রোহিঙ্গা শিবিরে ১ হাজার ৭০০ কর্মী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৪৩০ ইউনিটে ভাগ হয়ে তারা কাজ করবে। রেটক্রিসেন্টের রয়েছে ১২ শতাধিক কর্মী। তারা পাঁচটি ইউনিটে ভাগ হয়ে কাজ করবে।

অপরদিকে সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে ৮৯টি টিম গঠন করা হয়েছে। তার মধ্যে ২০ জন চিকিৎসক অন্যান্য এলাকা থেকে এনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের চারটি বিশেষ ইউনিট ও বিদ্যুৎ বিভাগের ছয়টি ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘জেলা শহরের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিসের সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারে মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় ফণী কিছুটা দুর্বল হয়ে ভারতের উপকূলীয় ওড়িশায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সকালের মধ্যে খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। ফণীর প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারে মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ফণীর প্রভাবে কক্সবাজারে ঝড়ো বৃষ্টি

আরও পড়ুন: ‘ফণী’ আতঙ্কে পর্যটক শূন্য কক্সবাজার

এ সম্পর্কিত আরও খবর