গরিবদের জন্য বিশেষ খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল চুরি করে এনে মুদি দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে।
ডিলার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে গত কয়েকমাস ধরে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চান্দ্রা বাজারে আ. ছাত্তার নামে এক ব্যবসায়ীর মুদি দোকানে সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দ ও ১০ টাকা দরের চাল ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সরকারি অধিকাংশ বরাদ্দের চাল প্রকৃত উপকার ভোগীদের না দিয়ে বিক্রি হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী জানান, চেয়ারম্যান ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা বাহার খান গরিবদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ টাকার চাল এভাবে দোকানে এনে ৩০ কেজির বস্তা ৭০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। তাদের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে কেউ কিছু বলতে পারে না।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) চান্দ্রা পূর্ব বাজারে ছাত্তারের মুদি দোকানে গিয়ে ৩০ কেজি ওজনের খাদ্য অধিদপ্তরের সিল মারা বিপুল সংখ্যক বস্তা পাওয়া যায়। কীভাবে তার দোকানে এসব চাল এসেছে জানতে চাইলে দোকানি আ. ছাত্তার এলোমেলো উত্তর দেন। তিনি একবার বলেন এসব চাল চেয়ারম্যান তাকে বিক্রি করতে দিয়েছেন। আবার বলেন তিনি এসব চাল খাদ্য গুদাম থেকে এনেছেন।
উপজেলার ১নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সফিকুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ‘এসব চাল ১০ টাকা কেজি দরের না। এসব চাল কাবিখার বরাদ্দের। যদি সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল হয়ে থাকে, তাহলে আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। আপনারা এ বিষয়ে উপজেলায় যোগাযোগ করেন।’
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলী আফরোজ বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চাল জব্দ ও ব্যবসায়ীকে আটক করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’