বাঁচতে চায় আগুনে দগ্ধ মারিয়া

যশোর, দেশের খবর

আজিজুল হক,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বেনাপোল (যশোর) বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 23:58:28

অর্থাভাবে সুচিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে অগুনে ঝলসে যাওয়া মারিয়া (৭)। তাকে বাঁচাতে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবারটি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বর্তমানে তার লেখা পড়াও বন্ধ রয়েছে।

যশোরের ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নের নায়ড়া গ্রামের ইট ভাটার ট্রলি চালক রুবেল হোসেনের মেয়ে মারিয়া। সে স্থানীয় নায়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছিল। গত শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে শরীরের ১৬ শতাংশ পুড়ে ঝলসে যায় মারিয়ার। অসহায় পিতা ট্রলি চালক মেয়ের চিকিৎসার্থে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীর সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে যশোরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করান। কিন্তু অবস্থার তেমন পরিবর্তন না হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও ভর্তি করানো হয়।
সেখানে ১৫ দিনে খরচ হয় প্রায় তিন লক্ষধিক টাকা। পরে আর খরচ যোগাতে না পেরে সেখান থেকে বাড়িতে ফিরত হয় মারিয়াকে। এখন বাড়িতে তার কবিরাজি চিকিৎসা চলছে।

চিকিৎসকরা তাকে ভালো ক্লিনিকে ভর্তি করার কথা বললেও টাকার অভাবে ভর্তি করাতে পারছেন না দরিদ্র পিতা। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত চিকিৎসাবাবদ তার প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তাদের পক্ষে মেয়ের ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালাতে নিদারুণ কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। পুরোপুরি তাকে সুস্থ করে তুলতে এখনো প্রায় ৩ লাখ টাকা দরকার।

মারিয়ার পিতা রুবেল মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, সারাদিন ভাটার ট্রলি চালিয়ে রোজগার হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। সংসার চালাতেই নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা। সেখানে মারিয়ার চিকিৎসা তার পক্ষে খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। মেয়ের চিকিৎসা চালাতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করেও তেমন কোন সাড়া ও সহযোগীতা পাননি। এখন তিনি সমাজের বিত্তবানসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: রুবেল হোসেন, মোবাইল নং-০১৭৩৩-৪৫৭৩৩১ (বিকাশ)।

এ সম্পর্কিত আরও খবর