কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) এলাকার নোয়াগাঁও রেলগেটের পূর্ব অংশে গার্ড ওয়াল নির্মাণের দুই মাসের মধ্যেই তা পার্শ্ববর্তী খালে ধসে পড়েছে।
এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর নির্দেশে কুসিকের প্রধান প্রকৌশলী শফিকুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
অপর দুই সদস্য হলেন- কুসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. নুরুল্লাহ ও কুসিক ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মাহবুবুর রহমান।
কুসিক সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, কুমিল্লা নগরীর উত্তর চর্থা নওয়াব বাড়ি চৌমুহনী এলাকা থেকে নোয়াগাঁও হয়ে নগরীর বেলতলী এলাকার ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দশ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তার পাশে গার্ড ওয়াল নির্মাণের কাজ পায় এমসিএইচএল এবং হক এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
প্রায় দুই মাস আগে নোয়াগাঁও এলাকায় ওই গার্ড ওয়াল নির্মাণ কাজটি সম্পন্ন হয়। কিন্তু এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার নোয়াগাঁও রেলগেটের পূর্ব দিকের রাস্তার পাশের রিটার্নিং ওয়ালটি ধসে পড়ে। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কুসিকের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মাহবুবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ তদারকি করেছে। তাই গার্ড ওয়াল ধসে পড়ার কারণ উদঘাটনসহ পরবর্তী করণীয় নিয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
কুসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব প্রকৌশলী আবু সায়েম ভূঁইয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এমসিএইচএল এবং হক এন্টারপ্রাইজ নামের দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজটি পেয়েছে। আমি ঢাকায় আছি। বিষয়টি জেনেছি। ধসে পড়া স্থানটি দেড়শ ফুট হতে পারে। ওই এলাকার কাজটি আলাদা একটি অংশ। এর সঙ্গে পুরো কাজের গুণগত মানের তুলনা করা যাবে না। প্রকল্পের কাজ এখনো চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধ করা হয়নি। তবে কী কারণে ওয়ালটি ধসে পড়েছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বার্তা২৪.কমকে জানান, গার্ড ওয়াল ধসে পড়ার খবর পেয়ে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা ওই স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।