স্কুলের ল্যাব থেকে ল্যাপটপ চুরি, ক্লাস বন্ধ

বরগুনা, দেশের খবর

ইমরান হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-18 22:19:09

বরগুনার পাথরঘাটার কেএম সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল ল্যাব থেকে ২০টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটেছে। আর এ ঘটনার পর বন্ধ রয়েছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাস।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্লাস বন্ধ থাকায় তাদের পাঠদান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদিও পুলিশের দাবি, শিক্ষকদের দ্বন্দ্বের জেরে এই চুরির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির তথ্য মতে, গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে স্কুল ছুটি হয়। শনিবার বিদ্যালয়ের ডিজিটাল ল্যাব খুলে দেখা যায় ২০টি ল্যাপটপ নেই। পরে জানালার গ্রিল কাটা অবস্থায় দেখা যায়।

বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বার্তা২৪.কম’কে জানান, ল্যাপটপ চুরির ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা জানান, ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর একই ল্যাব থেকে দুটি ল্যাপটপ চুরি হয়। তবে তখন বিষয়টি ধামাচাপা দেন প্রধান শিক্ষক। এরপর আবারও চুরির ঘটনা ঘটলো।

এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘২০১৭ সালে দুটি ল্যাপটপ চুরি হওয়ার ঘটনায় মামলা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তৎকালীন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রিপন আমাকে মামলা করতে বাধা দেন। পরে বিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকা দিয়ে আমাকে ল্যাপটপ কিনতে বাধ্য করা হয়।’

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষকদের কেউ ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন। তবে এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। শিগগিরই অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে।’

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটিও গঠন করা হবে। তবে কোনো শিক্ষক জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ ঘটনায় স্কুলের সহকারী শিক্ষক করিম বাদি হয়ে পাথরঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর