সমস্যায় জর্জরিত কক্সবাজারের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র

কক্সবাজার, দেশের খবর

মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 12:35:55

গত পাঁচ বছর ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর পশ্চিম তীরে স্থাপিত একমাত্র মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি। মূলত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, জেটি না থাকা এবং জায়গা সংকটের কারণে প্রতিনিয়ত লোকসানসহ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জেলে ও ব্যবসায়ীদের। তাই দ্রুত কেন্দ্রটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও সাড়া মেলেনি।

জানা গেছে, জেলা শহরের বাঁকখালী নদীর পশ্চিম তীরে ১৯৬৫-৬৬ অর্থ বছরে স্থাপন করা হয় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি। জেলার অধিকাংশ জেলে, শ্রমিক, মৎস্য ব্যবসায়ী ও ট্রলার মালিক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই কেন্দ্রে মাছ অবতরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় করেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় মাছ সরবরাহসহ বিদেশে মৎস্য রফতানিতেও একমাত্র ভরসা এ কেন্দ্রটি।

কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ধসে পড়ায় অবতরণ কেন্দ্রের একটি ভবন ভেঙে ফেলা হয়। বর্তমানে যে ভবনটি আছে সেটিও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া মাছ ওঠানামায় জেটির সমস্যা ও মাছ প্যাকেটিংয়ের জায়গা সংকটের কারণে নানা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

কক্সবাজার মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ওসমান গণি টুলু বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এখন অবতরণ কেন্দ্রে আগের মতো ট্রলার আসে না। ফলে পরিবহন খরচ বাড়ার পাশাপাশি দুর্ভোগও বেড়েছে। তাই শিগগিরই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি সংস্কার করা প্রয়োজন।’

কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এই কেন্দ্রে মাছ ওঠানামা করতে খুব সমস্যা হচ্ছে। ছোট নৌকায় মাছ নামানোয় খরচ বেড়েছে। আমরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক শরীফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সমস্যা সম্পর্কে ও নতুন কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর