সরকারি জায়গায় চারতলা ভবন নির্মাণ

নেত্রকোনা, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নেত্রকোনা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-18 18:55:22

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং বাজারের সরকারি জায়গায় একসনা মোকদ্দমা মূলে বন্দোবস্ত নিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ চারতলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বহুতল ওই ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমোদনও নেয়নি।

এছাড়া, ভবনের পয়ঃনিষ্কাশনের পাইপ বাজারের ড্রেনে উন্মুক্ত করে রাখায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারপাশে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে দুতলা ফাউন্ডেশনে চারতলা ভবন নির্মাণ করায় যেকোনো মুহূর্তে ভবনটি ধ্বসে পড়ারও আশঙ্কাও করছেন আশপাশের মানুষজন।

এ বিষয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ দেওয়া হয় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী পল্টনুজ্জামান পল্টনের বিরুদ্ধে।

এদিকে, স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও উপজেলা ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পল্টন চিরাং বাজারের সরকারি ওই জায়গা নিজের নামে খারিজ করিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাই বন্দোবস্ত মোকদ্দমা বাতিল পূর্বক জনস্বার্থে ভবনটি ভেঙে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে চিরাং বাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষে স্থানীয় বাট্টা গ্রামের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী এই অভিযোগটি করেছেন।

অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে, একসনা মোকদ্দমা মূলে চিথোলিয়া মৌজার চিরাং বাজারের ১নং খতিয়ানের ১৭৯৬ দাগের ৪০ বর্গমিটার ভূমি স্থানীয় বাট্টা গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে পল্টনুজ্জামান পল্টন ও তার স্ত্রী সাদিয়া জামান বন্দোবস্ত নেন। পরে ওই জায়গায় প্রথমে দোকানঘর এবং পরবর্তীতে দোকানঘরের স্থলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে দুতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে চারতলা একটি ভবন নির্মাণ করেন তিনি।

অভিযুক্ত ব্যবসায়ী পল্টনুজ্জামান পল্টনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদেরকে ওই জায়গার খারিজের কাগজপত্র দেখিয়ে বলেন, ‘আমি আমার নিজস্ব জায়গায় ভবন নির্মাণ করেছি।’

স্থানীয় চিরাং ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব খালেদ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগটি আমি এখনো পাইনি। হয়তো এ্যাসিল্যান্ড স্যার বা ডিসি স্যারের বরাবরে দিয়েছে। হাতে আসলে ব্যবস্থা নেবো’।

বন্দোবস্ত দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একসনা মোকদ্দমায় এটি পেরিফেরির আওতায় লিজ দেওয়া যায়।’

এ ব্যাপারে কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আল আমিন সরকার বলেন, ‘যেহেতু ইউনিয়ন পর্যায়ে বিল্ডিংটি হয়েছে, সেহেতু এলজিইডির পারমিশন নেওয়ার দরকার ছিল। আমার জানামতে নেয়নি।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর