চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় রাকিবুল ইসলাম নামে এক সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শককে প্রত্যাহার করে নিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। বুধবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই পুলিশ সদস্যকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।
হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম। তিনি বলেন, 'রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে।'
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি থানা পুলিশের সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) রাকিবুল ইসলাম সোমবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে তার বা পায়ে ফোঁড়ার চিকিৎসা নিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
এরপর মঙ্গলবার দুপুরে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর তাকে পোস্টঅপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়। এসময় তিনি ব্যথায় ছটফট করতে থাকেন। পরে বিকেল ৫টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সঞ্জয় কুমার রায় ওই ওয়ার্ডে খোঁজ নিতে গেলে রাকিবুল ইসলাম চিকিৎসকের ওপর চড়াও হয়ে হামলা করেন। এতে চিকিৎসক আহত হন।
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতেই ওই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এদিকে মুখ মণ্ডলে আঘাত পেয়ে বর্তমানে হাসপাতালের নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন চিকিৎসক সঞ্জয় কুমার রায়।
এদিকে, চিকিৎসকের ওপর হামালার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন রংপুর জেলা শাখা। বুধবার দুপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) থেকে শনিবার পর্যন্ত কালোব্যাজ ধারণ এবং শনিবার প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএমএর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও জেলা সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।