মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে যশোরের সাগরদাঁড়িতে ‘মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়েছে।
মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আওয়ালের কাছে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, 'বাংলা সাহিত্যের অনন্য মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত সাগরদাঁড়িতে জন্ম নিয়েছেন বলেই যশোর অঞ্চল আজ আলোকিত। সাহিত্যের অনেক খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিক বাংলাদেশে জন্ম না নিলেও ইতোমধ্যে তাদের নামে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণ করে তাদেরকে সম্মানিত করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মাঝে তাঁরা বেঁচে আছেন।'
আরও বলা হয়েছে, 'অথচ বাংলাদেশের যশোরে জন্ম নেওয়া বিশ্ববিখ্যাত মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে আজও আমরা বড় কোন স্থাপনা বা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করতে পারিনি। যা আমাদের অনেক আগেই করা উচিৎ ছিল। সেই উপলব্ধি থেকেই যশোরবাসী এ মহাকবির জন্মভূমি সাগরদাঁড়িতে ‘মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার দাবিতে দীর্ঘ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে।'
দেশের খ্যাতিমান এ কবির নামে বিশ্ববিদ্যালয় করার নিমিত্তে মঙ্গলবার যশোরের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল স্মারকলিপি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আইনজীবী আবু বকর সিদ্দিকী, সদস্য সচিব কবি খসরু পারভেজ, কমিটির সদস্য ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের সভাপতি ডিএম শাহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তন্দ্রা ভট্টাচার্য, যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গ্রামের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মবিনুল ইসলাম মবিন, তির্যক যশোরের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাস রতন, যশোর কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাক হোসেন শিম্বা, কমিটির সহকারী সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।