শ্রীপুর রেল-স্টেশনে সব থাকার পরও দুর্ভোগ

গাজীপুর, দেশের খবর

ফয়সাল আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 09:52:38

জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেল সড়কের অন্যতম জনগুরুত্বপূর্ণ গাজীপুরের শ্রীপুর রেল-স্টেশন। প্রতিদিন এই স্টেশনে সাতটি ট্রেন ১৪ বার যাত্রা বিরতি করে, যার মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার যাত্রী দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে গমন করেন।

দিন রাতের অধিকাংশ সময় স্টেশনটি যাত্রীদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে থাকলেও তাদের চাহিদামত কোনো ধরনের নাগরিক সুবিধা নেই স্টেশনটিতে। অথচ স্টেশনটিতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই বিদ্যমান রয়েছে।

স্টেশনের যাত্রী ও রেল বিভাগের সূত্রমতে, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল শাখার অধীন এই স্টেশনটি তৃতীয় শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। শিল্প এলাকাসমৃদ্ধ উপজেলায় এই স্টেশনটির অবস্থান হওয়ায় প্রতিনিয়ত যাত্রীদের চাপ বাড়ছে।

আর যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে ইতোমধ্যে স্টেশন আঙিনায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর বিশ্রামাগার ও শৌচাগার নির্মাণ করলেও তা তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। ফলে যাত্রীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত। শোচাগার বন্ধ থাকায় স্টেশন আঙিনায় প্রাকৃতিক কাজ করেন যাত্রীরা। এতে স্টেশনের পরিবেশ প্রকট দুর্গন্ধে ভারী হয়ে আসে, নাক চেপে চলাচল করতে হয় যাত্রীদের।

শ্রীপুরের আহমেদ আলী ১৫ বছর ধরে এই স্টেশন ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন। তার মতে, ‘এই স্টেশনে যাত্রীদের নূন্যতম সুবিধা নেই। যাদের বাড়ি স্টেশনের কাছে তারা বাড়ি থেকে প্রাকৃতিক কাজ সেরে বের হন। তবে যাদের বাড়ি দূরে তারা বিপদে পড়েন।’

স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রী নুরুন্নাহারের বলেন, ‘এখানে শৌচাগার ও সুপেয় পানি ব্যবহারের কোনো ব্যবস্থা নেই। অথচ সবকিছুই রয়েছে। যদি কর্তৃপক্ষ এসব তালাবদ্ধ করে রাখে, ফলে বিপদে পড়েন নারীরা। তাহলে এসব নির্মাণ করে কী লাভ হলো?’

স্টেশন আঙিনার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবুজ মিয়ার ভাষ্য, ‘এই স্টেশনে সবকিছুরই ব্যবস্থা আছে, শুধু ব্যবস্থাপনার অভাব।’

এ বিষয়ে শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বিশ্রামাগার ও শৌচাগার বিভিন্ন সময় যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে খোলা হয়। এসব দেখাশোনার জন্য চাহিদামত লোক না থাকায় অধিকাংশ সময় বন্ধ করে রাখা হয়। তবে যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে ইতোমধ্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও রেলওয়ে আঙিনায় পাবলিক টয়লেট স্থাপনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর